সুগন্ধার সেই স্থাপনার কাজ বন্ধ করলো প্রশাসন

সুগন্ধার সেই স্থাপনার কাজ বন্ধ করলো প্রশাসন
# আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসককে কউকের চিঠি 

# সচ্চিদানন্দ সেনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা
শহরের হোটেল-মোটেল জোনের সুগন্ধা এলাকায় সরকারি জায়গায় 'অবৈধ স্থাপনার' কাজ বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। তাদেরকে আজ সোমবার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে জেলা প্রশাসকের সাথে দেখা করার জন্য বলা হয়েছে। অন্যথায় অবৈধ স্থাপনার কাজ বন্ধসহ উচ্ছেদ করা হবে বলে জানিয়েছেন, সহকারী কমিশনার ( ভূমি) শারমিন সুলতানা। 
গতকাল রবিবার দৈনিক কক্সবাজার পত্রিকায়  'শহরের সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা' শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এই সংবাদ প্রকাশের পর শহরজুড়ে তোলপাড় হয়। সন্ধ্যা'য় সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন সুলতানার নেতৃত্বে ওই জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। 

জানা যায়, ২০০০৩ দাগের ৩৯ দশমিক ৭৮ একর জায়গা ২০১৮ সালে সরকারিভাবে খাস হয়ে যায়। এ দাগের জায়গা কলাতলী থকে শুরু করে লাবনী পর্যন্ত এসে শেষ হয়। সেখানে ব্যক্তি মালিকানাধীন আর কোন জায়গা নেই। দাগের ২ দশমিক ৩ একর জায়গা ১ নং সরকারি খাস খতিয়ানের জায়গা। রীটকারী সাচ্চিদানন্দ সেন গুপ্তের করা মামলায় ( নং ১০৬৫৭) বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে ভূমি অফিস। যার নং ৩৭২৯/২০২৪। পরবর্তীতে ২৪ সালের ১০ নভেম্বর তিন মাসের জন্য সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দেন। সময় শেষ হওয়ার পর বর্ধিত সময়ের জন্য ২০২৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারী আবারো সুপ্রিম কোর্টে পটিশন দাখিল করেন ভূমি অফিস।
নামা জানাতে অনিচ্ছুক ভূমি অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, 'সচ্চিদানন্দ সেনের কথা শুনেছি। কিন্তু মানুষটাকে না-কি কেউ দেখেনি। ওনার পক্ষ হয়ে কিছু লোক জাল খতিয়ান ও দলিল সৃজন করতে বিভিন্নভাবে পায়তারা করছে। ওইসব লোক অনলাইনে সাচ্চিদানন্দের নামে খতিয়ান আছে বলে জানায়। কিন্তু এই নামে কোনো খতিয়ান নেই।'
এদিকে ২০২৪ সালের ১২ জুন জাল খতিয়ান এবং পরপর দুইবার উপজেলা ভূমি অফিস, সদর, কক্সবাজার এর দুইটি সরকারি নথিপত্র জালিয়াতি করে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বরাবর দাখিলের দায়ে সাচ্চিদানন্দ সেন গুপ্ত, পিতা: মৃত নৃপেন্দ্র মোহন সেন গুপ্ত-এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি দিয়েছিলেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উপ-নগর পরিকল্পনাবিদ মো: তানভীর হাসান রেজাউল। 
কউক'র ভূমি ব্যবহারের প্রত্যাখ্যানপত্রে দেখা যায়, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা মৌজার বি.এস, খতিয়ান নং-৭৯০০, আর.এস, দাগ নং- ৫৪ এবং বি.এস. দাগ নং ২০০০৩/৩০৪৩২ এর জমিতে আবাসিক হোটেল/কটেজ/বাণিজ্যিক বিষয়ক ভূমি ব্যবহারে আপত্তি রয়েছে। ২০২৩ সালের২৮ ডিসেম্বর  ঝিলংজা মৌজার বি.এস, খতিয়ান নং-৭৯০০, আর.এস. দাগ নং- ৫৪৬ এবং বি.এস, দাগ নং ২০০০৩/৩০৪৩২ এর জমি আবাসিক হোটেল/কটেজ/বাণিজ্যিক বিষয়ক ভূমি ব্যবহার করার সুযোগ নাই। 
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো সালাহউদ্দিন বলেন, বিষয়টি নজরে আসার পর সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে। তাঁদেরকে কাল (আজ) কাগজপত্র নিয়ে দেখা করতে বলা হয়েছে। কাগজে কোন রকম গড়মিল থাকলে ওই স্থানে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।'
এদিকে জায়গা দখল ও জাল খতিয়ান সৃজনের অভিযোগে সাচ্চিদানন্দ সেনের বিরুদ্ধে সদর মামলা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক ( এস আই) সুস্ময় দাশ বলেন, এক ব্যক্তি সচ্চিদানন্দ সেনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।
আপনার মন্তব্য দিন

প্রকাশিত মন্তব্য

কক্সবাজার


পরিচালনা সম্পাদক: মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক: মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম

© 2025 Dainik Coxsbazar, All Rights Reserved.