কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ৪০ শয্যা বিশিষ্ট কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপনে স্বেচ্ছাসেবী, সমাজের সচেতন মহল ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের অংশ গ্রহণে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
শনিবার বিকেলে কক্সবাজার শহরের পৌরসভার হল রুমে এই সভার আয়োজন করা হয়।
মত বিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও তরুণ সংগঠক জাকের হোসেন নয়ন। সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন তরুণ সংগঠক মোঃ কামরুল হাসান এবং মোঃ রিয়াজ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন ইমরান হেসেন নবী, বক্তব্যে তিনি শুরুতে কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টারের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কক্সবাজার জেলা শাখার সহ-সভাপতি রফিকুল হুদা চৌধুরী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট ছৈয়দ আলম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কক্সবাজার পৌর শাখার সদস্য সচিব মোঃ আবুল কাশেম, মঙ্গল পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি জগদীশ বড়ুয়া পার্থ, আদিল বিন তালেব, সংগঠক , বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ , জাহাঙ্গীর আলম , সহকারী পরিচালক , কোষ্ট ট্রাস্ট , তৌহিদ বেলাল , সভাপতি , কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাব, আশরাফুল হুদা ছিদ্দিকী জামশেদ, সাবেক কাউন্সিলর, কক্সবাজার পৌরসভা, খালিদ বিন সাঈদ, সংগঠক, এনসিপি, আতাহার সাকিব , প্রতিনিধি , বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ , বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কক্সবাজার পৌর শাখার সভাপতি ইমরান হোসেন, এছাড়া ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, যাঁদের মধ্যে ছিলেন চিকিৎসক, সাংবাদিক, শিক্ষক, আইনজীবী, ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বক্তারা বলেন, কিডনি রোগ এখন কক্সবাজার সহ সারাদেশে একটি ভয়াবহ স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক রোগী প্রতিদিনই কষ্টকর ডায়ালাইসিস চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম কিংবা ঢাকায় যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে শুধু শারীরিক কষ্টই নয়, অর্থনৈতিক দিক থেকেও বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে অসংখ্য পরিবার। বক্তারা আরো বলেন, কক্সবাজারে একটি সরকারি ভাবে স্বল্পমূল্যে বা বিনা মূল্যের কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
সভায় অংশগ্রহণকারী সবাই এই মহতী উদ্যোগের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন এবং যার যার অবস্থান থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এ ধরনের একটি সেন্টার শুধু রোগীদের চিকিৎসা নয়, বরং মানবিকতার একটি দৃষ্টান্ত হয়ে উঠবে বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।
সভায় অংশ গ্রহণকারী সকল অতিথি এবং স্বেচ্ছা সেবকদের পরামর্শ অনুযায়ী ২৮ এপ্রিল মানববন্ধন পরবর্তী কক্সবাজার প্রশাসক মহোদয়ের মাধ্যমে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বরাবরে স্মারক লিপি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।অনুষ্ঠান শেষে সকলকে নিয়ে একটি সনদপত্র তৈরির পরিকল্পনার কথাও উঠে আসে, যা ভবিষ্যতে ফান্ড রেইজিং ও সরকারি সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
এই উদ্যোগের সার্বিক সফলতা কামনা করে সভা সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।