রাষ্ট্রদ্রোহিতার দায়ে রুশ হাইপারসনিক বিজ্ঞানীকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড

রাষ্ট্রদ্রোহিতার দায়ে রুশ হাইপারসনিক বিজ্ঞানীকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড
হাইপারসনিক প্রযুক্তিতে কাজ করা একজন রাশিয়ান বিজ্ঞানীকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে রুশ রাষ্ট্রীয় মিডিয়া জানিয়েছে। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ওই বিজ্ঞানীর নাম আলেকজান্ডার শিপলিউক। পরবর্তী প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোতে প্রয়োগ করা যেতে পারে এমন গবেষণার সাথে যুক্ত বিশেষজ্ঞদের মধ্যে তিনিই সর্বশেষতম ব্যক্তি যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। রাশিয়ান বার্তাসংস্থা তাস জানিয়েছে, আলেকজান্ডার শিপলিউকের বিরুদ্ধে হাইপারসনিক প্রযুক্তি সম্পর্কিত রাষ্ট্রীয় গোপনীয় তথ্য বিদেশি শক্তির কাছে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রুশ এই বিজ্ঞানী। ৫৭ বছর বয়সী এই বিজ্ঞানী ইনস্টিটিউট অব থিওরিটিক্যাল অ্যান্ড অ্যাপ্ল্যাইড মেকানিক্স-এর সাইবেরিয়ান শাখার পরিচালক ছিলেন। তিনি হাইপারসনিক ফ্লাইটের বিষয়ে কাগজপত্রও প্রকাশ করেছেন। বিবিসি রাশিয়ান জানিয়েছে, তিনি দোষ স্বীকার করেননি। তার ছেলে মিখাইল শিপলিউক বিবিসিকে বলেছেন: তিনি এবং তার আইনজীবী শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছেন। তিনি তার বাবাকে এমন একজন ব্যক্তি হিসেবে বর্ণনা করেছেন যিনি তার কাজকে ভালোবাসেন, সাধারণভাবে যিনি এটির জন্য তার জীবন দিয়ে দিয়েছেন। ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১২ জন পদার্থবিজ্ঞানী গ্রেপ্তার হয়েছে যারা কোনও না কোনও ভাবে এই হাইপারসনিক প্রযুক্তি বা এটা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত ছিলেন। তারা প্রত্যেকে ভয়ঙ্কর দেশদ্রোহীতার অভিযোগে অভিযুক্ত, যার মধ্যে আছে রাষ্ট্রীয় গোপন খবর বিদেশি রাষ্ট্রে পাচার করা। হাইপারসনিক বলতে এমন মিসাইল বোঝায় যা অত্যন্ত দ্রুত গতিতে চলতে পারে এবং লক্ষ্যবস্তুর দিকে যাওয়ার সময় আকাশ প্রতিরক্ষাকে এড়িয়ে এটি দিক পরিবর্তন করতেও সক্ষম। রাশিয়া বলছে, তারা ইউক্রেনের যুদ্ধে দুই ধরনের মিসাইল ব্যবহার করেছে – কিনঝাল, যা বিমান থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়, এবং জিরকন ক্রুজ মিসাইল।

আপনার মন্তব্য দিন

প্রকাশিত মন্তব্য

আন্তর্জাতিক

পরিচালনা সম্পাদক: মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক: মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম

© 2025 Dainik Coxsbazar, All Rights Reserved.