মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকাল ৯টায় ঝালকাঠি জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ পরিবারে নগদ অর্থপ্রদান ও ছাত্র-জনতা ঐক্য সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আজ হিন্দু মুসলিম কোনো ভেদাভেদ নেই। আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্তের সেই বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। যেখানে খাদ্য-শিক্ষাসহ নাগরিকের সবধরনের নিরাপত্তা থাকবে।’
গোলাম পরোয়ার আরও বলেন, ‘এ রক্তঝরা ইতিহাস জাতির জন্য যুগযুগ ধরে মাইলফলক হিসেবে থাকবে। জাতি এটা দিয়ে শিক্ষা নেবে শেখ হাসিনা কীভাবে হায়েনার মতো মানুষের ওপর নির্যাতন, শোষণ চালিয়েছিলেন। গুম, খুন, অপহরণ, আয়নাঘরের মাধ্যমে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছিলো হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে। সেই গণঅভিশাপে এবং আন্দোলনের মুখে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, দেশের ক্লান্তিলগ্নে ছাত্ররাই তাজা রক্ত দিয়ে দ্বিতীয়বারে মতো দেশ স্বাধীন করেছেন। আমরা ওই সব শহীদ পরিবারের পাশে আছি। যারা সন্তান হারিয়েছেন, স্বামী হারিয়েছেন, ভাই হারিয়েছেন তারা হাহাকার না করে মৃত্যু অনিবার্য সেটা মানতে হবে। বুকের কষ্টকে পাথর চাপা দিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে। যাতে শহীদদের আল্লাহ জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করেন।’
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি আন্দোলনে শহীদ ছাত্রদের অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে করে বলেন, আপনারা সৌভাগ্যবান, আপনার সন্তানরা শাহাদাত বরণ করেছেন। আপনিও গর্বিত শহীদ পরিবারের সদস্য। এ সময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের অবদানের কথা স্মরণ করে তাদের পরিবারের পাশে থাকতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মুয়াজজম হোসেন হেলাল, পিরোজপুর সাইদী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শামীম সাঈদি।
জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সেক্রেটারি অধ্যক্ষ ফরিদুল হকের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন: শহীদ নাইমের বাবা মো. কামরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সাবেক নেতা ও বরিশাল বিএম কলেজের সাবেক এজিএস শেখ নেয়ামুল করীম, কাঁঠালিয়া উপজেলা আমির মাস্টার মজিবুর রহমান, সদর উপজেলা আমির মাওলানা মনিরুজ্জামান তালুকদার, পৌর সেক্রেটারি শাহাবুদ্দিন খলিফা, কাঁঠালিয়া উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা নজরুল ইসলাম।
এ সময় আটজন শহীদ পরিবারের মধ্যে দুই লাখ করে ১৬ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়।