ইউএসএআইডি'র ইকোফিশ-২ প্রকল্প, ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলায় মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট ও বিএফডিসির কর্মকর্তাদের সাথে এক কর্মশালা আয়োজন করে।
বৃহস্পতিবার সকালে একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় প্রকল্পের পঞ্চম বছরের কর্মপরিকল্পনা বিষয়ক আলোচনা করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মোঃ আলমগীর।
প্রধান অতিথি সৈয়দ মোঃ আলমগীর তাঁর বক্তব্যে বলেন, 'বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তর সমুদ্র, উপকূল, সামুদ্রিক সম্পদ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও মৎস্যজীবী মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের; তথা ব্লু ইকোনোমিকে আরও সমৃদ্ধ ও সচল করতে নানা ধরণের কাজ করে যাচ্ছে। ইউএসএআইডি'র ইকোফিশ ২ প্রকল্প মৎস্য অধিদপ্তরের নানা উদ্যোগ ও কার্যক্রমে বরাবরই সফলভাবে সমন্বয় করেছে। এসডিজি লক্ষ অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগ এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অভীষ্টের লক্ষে পৌঁছাতে ইকোফিশ ২'র কর্ম উদ্যোগ ও পরিচালনাকে আমি সাধুবাদ জানাই এবং ভবিষ্যতে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আরও সফল সমন্বয় আশা করছি।
প্রকল্পের চিফ অফ পার্টি, ড. মোহাম্মদ মোকাররম হোসেনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আব্দুর রউফ।
সভাপতির বক্তব্যে ড. মোহাম্মদ মোকাররম হোসেন বলেন, "বাংলাদেশের সমুদ্র ও সামুদ্রিক জীব বৈচিত্র্য ও মৎস্যজীবীদের জীবন ও জীবিকার ভারসাম্য রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ পূরণে মৎস্য অধিদপ্তরের সাথে কাজ করছে ইউএসএআইডি'র ইকোফিশ ২। প্রকল্পটি মূলত জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ, সমুদ্র ও উপকূলের পরিবেশ উন্নয়ন ও প্রান্তিক মৎস্যজীবী পরিবারের জীবন ও জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে। বরাবরের মতো ভবিষ্যতেও ওয়ার্ল্ড ফিশ বাংলাদেশের মৎস্য অধিদপ্তরের সাথে সফল ও ফলপ্রসু সমন্বয় করবে আমরা এই প্রত্যাশা রাখি।'
এ ছাড়া কর্মশালায় চট্টগ্রাম সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তরের পরিচালক মোঃ আব্দুস সাত্তার, মোঃ আসাদুজ্জামান, সহকারী পরিচালক, মৎস্য অধিদপ্তর, মোছাঃ ছালমা আক্তার, সহকারী পরিচালক, মৎস্য অধিদপ্তর,ইউএসএআইডি'র ইকোফিশ ২ প্রকল্পের সাইন্টিস্ট, স্পেশালিষ্ট, রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট এবং রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্টরাও উপস্থিত ছিলেন।