শহরে সন্ত্রাসী হাসনাতের অপরাধ থেমে নেই, জিম্মি হাজারো মানুষ

শহরে সন্ত্রাসী হাসনাতের অপরাধ থেমে নেই, জিম্মি হাজারো মানুষ
কক্সবাজার শহরের আলোচিত সন্ত্রাসী আবুল হাসনাত কয়েক বছর পর আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, জমি দখল, চাঁদাবাজিসহ এমন কোন অপরাধ নেই, তার বাহিনী  করছে না। তার অপরাধের কারণে শহরের বাইপাস সড়কের জেল গেইট রহমতপুর এলাকার হাজারো মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে। অভিযোগ রয়েছে, খোদ শশুর-শাশুড়িও রক্ষা পাচ্ছে না তার অপরাধ থেকে। 

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সুত্রে জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ ডজনের অধিক মামলা রয়েছে। তার অপরাধ থেকে নিস্তার পেতে ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়ার সমিতি বাজার এলাকার মৃত মাওলানা নুরুল ইসলামের ছেলে আবুল হাসনাত সমিতি বাজার ও আশপাশের এলাকায় বাহিনী গঠন করে দীর্ঘদিন ধনানা অপরাধ করে আসছিল। এ নিয়ে একাধিকবার জেলও খেটেছেন। 
পরবর্তীতে এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়ায় শহর পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপিত হলে হাসনাত আশ্রয় নেন জেলগেইট সংলগ্ন রহমতপুর এলাকার শশুরবাড়িতে। বছর দুয়েক সেখানে অবস্থানের পর পুনরায় অপরাধ কর্মকান্ড শুরু করে। বর্তমানে রহমতপুর এলাকার হাজারো মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে তার বাহিনী। তবে কেউ ভয়ে মুখ খুলতে চায় না। 

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, কয়েক মাসের ব্যবধানে ১০/১২টি জমি দখল করেছে হাসনাতের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা। সরকারি জমি দখলের পাশাপাশি বিভিন্ন জনের ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি দখল করে চাঁদা আদায় করাই তার মুল পেশা। ইতিমধ্যে ইদ্রিস, মিজানুর রহমান, শামসুল হুদা, নুরুল আলমসহ বেশ কয়েকজনের জমি দখল করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ করে তাঁর শ্বশুর মনজুর শনিবার (৪ মে) আলম বলেন, মনে করেছিলাম সে ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু আবদুর রহিম, নুরুল আলমসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের জড়ো করে অপরাধ করে যাচ্ছে। কাউকে শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না। সম্প্রতি আমার মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে জমি দখল করে নিয়েছে।
তার বিরুদ্ধে ওই এলাকার মৃত রশিদ আহমদের পুত্র খোরশেদুল ইসলাম পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে হাসনাত ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে ভোগদখলীয় ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মানে বাধা প্রদান করে চাঁদা দাবির অভিযোগ আনা হয়। 
থানায় অভিযোগের পর সন্ত্রাসীরা আরও বেপরোয়া হয়ে পড়েছে অভিযোগ করে  ভুক্তভোগী খোরশেদুল ইসলাম জানান,  হাসনাত ডজন মামলার আসামি। তার নিজের, স্ত্রী ও ভাইয়ের দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে হঠাৎ করেই দলবল নিয়ে হাজির হয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মানে বাধা দেন এবং পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ অবস্থায় তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ ঘটনায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
আপনার মন্তব্য দিন

প্রকাশিত মন্তব্য

কক্সবাজার


পরিচালনা সম্পাদক: মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক: মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম ও সহ সম্পাদক: ড. মোঃ আশরাফুল ইসলাম (সজীব)

© 2024 Dainik Coxsbazar, All Rights Reserved.