পেকুয়ায় দীর্ঘ ৫০ বছর পরেই স্বীকৃতি মিলল স্কুলের মালিকানাধীন সম্পত্তির। জবর দখলকৃত জায়গা উদ্ধার করা হয়। এরপর ওই জায়গাটি স্কুলকে হস্তান্তর করা হয়। উদ্ধারকৃত জায়গাটি খেলার মাঠ হিসেবে রুপান্তর হয়েছে। মালিকানা নিয়ে ১২০ শতক জায়গার বিরোধ অবশেষে নিষ্পত্তি হয়েছে। ১২০ শতকের মধ্যে ৩০ শতক জায়গা উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধারকৃত জায়গাটি হবে স্কুলের খেলার মাঠ। এ দিকে সদর ইউনিয়নের পূর্ব মেহেরনামায় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে খেলার মাঠের। পূর্ব মেহেরনামা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিজস্ব জায়গায় ওই মাঠের শুভ সূচনা হয়েছে।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) মেহেরনামায় খেলার মাঠ উদ্বোধন করেছেন সদর ইউপির ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহেদুল ইসলাম। এ সময় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও স্কুল কর্তৃপক্ষের জৈষ্ঠ্য কর্তাবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সুত্র থেকে জানা গেছে, সদর ইউনিয়নের পূর্ব মেহেরনামা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১২০ শতক জায়গা নিয়ে অচলাবস্থা বিরাজ করছিল। একটি ভূমিদস্যুচক্র স্কুলের জায়গা জবর দখল করে রাখে। প্রায় ৫০ বছর ধরে তারা স্কুলের জায়গায় ফসল উৎপাদনসহ অবৈধ বসতি স্থাপন করে। বেহাত হওয়া জায়গা উদ্ধারের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ দীর্ঘ সময় প্রচেষ্টা চালায়। উদ্ধার পেতে প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে চাওয়া হয়েছে সহযোগিতা। তবে এ সব তৎপরতার পরেও জবর দখলকারীরা জায়গাটি স্কুলকে ফেরত দিতে সম্মত ছিল না। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকেও পরিদর্শন টীম সেখানে গেছে। তারা জায়গার পরিমাপও করে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সম্প্রতি স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহেদুল ইসলাম স্কুলের জায়গা উদ্ধারের জোরালো উদ্যোগ নেন। তিনি স্থানীয়দের সহায়তায় জায়গার চৌহর্দ্দি নির্ণয় করেন। অত:পর স্কুলের জায়গা জবর দখল থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন। ১ মাস আগে ইউপি সদস্যের প্রচেষ্টায় ৩০ শতক জায়গায় বালি ভরাটসহ বাস্তবায়ন করা হয় সংস্কার কাজ। সোমবার বিকেলে ইউপি সদস্য শাহেদসহ বিদ্যালয় এসএমসি কমিটি ও স্থানীয়রা গিয়ে উদ্ধার হওয়া ভরাটকৃত অংশটি স্কুলের খেলার মাঠ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। মাঠে ব্যানার দিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে ওই মাঠের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয় এসএমসির সদস্য মাহামুদুল করিম জানান, এটি খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আমাদের মাঝে এ জায়গা নিয়ে সংকোচবোধ ছিল। ভয়ে কেউ মুখ খোলেনি। আজকে সাংবাদিকদের সামনে এ মাঠ নিয়ে অসংকোচ প্রকাশের দূরন্ত সাহস আমরা প্রকাশ করেছি। বল নিয়ে ছেলেরাও এসেছে মাঠে।
ইউপি সদস্য শাহেদুল ইসলাম জানান, আমাকে সবাই সহযোগিতা করেছে। আসলে এ সম্পত্তির আমরা কেউ মালিক নই। মালিক স্কুল। কেন এতদিন স্কুলকে বঞ্চিত করা হলো। এর ফায়সালা এখানে নেই। আমরা উদ্যোগ নিয়েছি কাজও হয়েছে। আর অবশিষ্ট বেদখলে থাকা জায়গাও ইনশাআল্লাহ খুব দ্রুত সময়ে উদ্ধার হবে।