মহেশখালী কলেজে কর্মরত শিক্ষকদের পদ শূন্য দেখিয়ে চাহিদা প্রেরণ, বিক্ষুব্ধ শিক্ষকেরা

মহেশখালী কলেজে কর্মরত শিক্ষকদের পদ শূন্য দেখিয়ে চাহিদা প্রেরণ, বিক্ষুব্ধ শিক্ষকেরা
মহেশ খালী কলেজে কর্মরত শিক্ষকদের পদ শূন্য দেখিয়ে NTRCA-তে চাহিদা প্রেরণে বিক্ষুব্ধ হয়েছে শিক্ষকেরা। মহেশখালী কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) গভর্নিং বডির অনুমোদন ছাড়া এবং গভর্নিং বডির সদস্যদের না জানিয়ে ডিগ্রি (পাস) স্তরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক যথাযথ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে ৭ বছর ধরে কর্মরত ৪ জন শিক্ষকের পদ শূন্য দেখিয়ে গত ৯/৪/২৩ ইং তারিখ NTRCA-তে  চাহিদা প্রেরণ করেছে। এ ব্যাপারে কলেজের বর্তমান গভর্নিং বডির (এডহক কমিটি) ৫ সদস্যের মধ্যে ৩ জন সদস্য জানান ২০২৩ সালে গভর্নিং বডির কোন সভাই হয়নি । 

গভর্নিং বডির সদস্য আলতাফ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন চলিত বছর মহেশখালী কলেজের কোন সভা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। তাই শিক্ষকের চাহিদা প্রেরণের বিষয়টিও আমি অবহিত নই। গভর্নিং বডির অপর সদস্য  হুমায়ুন কবির আযাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান সেপ্টেম্বর ২০২২ থেকে চলিত মে ২০২৩ ইংরেজি পর্যন্ত মহেশখালী কলেজের কোন মিটিংয়ে তিনি অংশগ্রহণ করেননি এবং শিক্ষকের চাহিদা প্রেরণের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। গভর্নিং বডির আরেক সদস্য সরওয়ার কামালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন NTRCA-তে শিক্ষকের চাহিদা পাঠানোর ব্যাপারে কোন মিটিং হয়নি। 
এ ব্যাপারে কলেজর অধ্যক্ষের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোনে কেটে দেন পরে আরো একাধিকবার ফোন করলেও আর ফোন রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে মহেশখালী কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইয়াসিন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান শিক্ষকের চাহিদা প্রেরণ এটা আমাদের একটি রুটিন ওয়ার্ক সে হিসেবে প্রেরণ করেছি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রের ২নং ধারা অনুযায়ী গভর্নিং বডির অনুমোদন সাপেক্ষে NTRCA-তে  শিক্ষকের চাহিদা প্রেরণ করতে হবে ।

এ বিষয়ে ডিগ্রি (পাস) স্তরে  কর্মরত শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা  জানান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক যথাযথ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে অদ্যাবধি কর্মরত আছি এবং ২০২০ সালে কলেজের ডিগ্রি (পাস) স্তর  MPO ভুক্তির পরে তারা MPO -র  আবেদন পাঠালে মাউশির চট্টগ্রাম অঞ্চল তাদের জন্য প্রযোজ্য নয় এমন এক কারণ দেখিয়ে তাদের আবেদন বাতিল করে। মাউশির এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ন্যায় বিচার পূর্বক তারা MPO ভুক্তির জন্য মহামান্য উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করি (মামলা নং১১৩০১/২০২১) যা বর্তমানে বিচারাধীন। তারা আরো জানান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের  বিধি মোতাবেক যথাযথ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে ৭ বছর ধরে কর্মরত ৪ জন শিক্ষকের পদ শূন্য দেখিয়ে NTRCA-তে চাহিদা প্রেরণ সরকার ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি-বিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করার শামিল এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে   ৪ জন শিক্ষককে চাকরিচ্যূত করার গভীর ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন চেষ্টা করা যাহা ভয়াবহ অপরাধ ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন।
আপনার মন্তব্য দিন

প্রকাশিত মন্তব্য

কক্সবাজার

পরিচালনা সম্পাদক: মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক: মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম

© 2025 Dainik Coxsbazar, All Rights Reserved.