অভিযোগ : আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও টাকা উত্তোলনের পাঁয়তারা করছে সার্ভেয়ার ইব্রাহীম ফয়সাল

অভিযোগ : আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও টাকা উত্তোলনের পাঁয়তারা করছে সার্ভেয়ার ইব্রাহীম ফয়সাল
জমি নিয়ে দুটি মামলা চলমান থাকাবস্থায় ভূমি অধিগ্রহণ শাখাকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে চেকের টাকা উত্তোলনের পায়ঁতারা করছে একটি কুচক্রী মহল। মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের দীনেশপুর গ্রামের মৃত আবুল খায়ের ও ওছন জামালের ছেলে ক্ষতিগ্রস্ত হাছি মিয়া গং অভিযোগ করেছেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রতিপক্ষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে অপর ১১৬৮/২১ ও অপর ৩০৭/১৭ নং মামলা থাকা সত্বেও বিবাদীগণকে এল.এ. এর চেক দেওয়ার সমস্ত আয়োজন শেষ করেছে। মহেশখালী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে অধিগ্রহণকৃত জমির রেকর্ডীয় মালিক আবদুল আলীর ৫ একর ১৯ শতক জমি অধিগ্রহণ করা হয়। যার ওয়ারিশ ২ ছেলে ও ৯ মেয়ে। কিন্তু আবদুল আলীর ৯ মেয়ের ওয়ারিশ গোপন করে ২ ছেলের ওয়ারিশগণ। ছেলে নুরুল কবিরের ওয়ারিশগণ ও হাজী জহির আহাম্মদের ওয়ারিশগণ টাকা উত্তোলনের পাঁয়তারা করছে।

ওছন জামালের ওয়ারিশ সূত্রে জানা যায়, এল.এ মামলা ০৪/২০১৩-১৪ কালারমারছড়া মৌজার রোয়াদাদ নং ১৭, বি,এস ৭২ নং খতিয়ানের মালিক আবদুল আলী। ওয়ারিশ সূত্রে মেয়ে ওছন জামাল। কিন্তু মেয়ের ওয়ারিশগণকে বঞ্চিত করে ৮৭৪/১৮ নং আবেদনমূলে নিঃস্বত্ববান বশীর আহমদ ও নূর মুহাম্মদ গংকে এবং নাছিমা, হাছিনা মোস্তফা, ফাহমিদা, আবদুর রহিম গংকে এল এ চেক দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। হাছি মিয়া গংয়ের ১১৫৪/১৯ আবেদনও আমলেও নেয়নি ভূমি অধিগ্রহণ শাখা এবং আবেদন নং ১২৮২, ১৩/০১/২২ এর দরখাস্ত শুনানী না করে গোপনে হাজী নুরুল কবিরের ওয়ারিশগণ ও হাজী জহির আহমদের ওয়ারিশগণকে টাকা প্রদানের পায়তারা করছে। আবেদনটি আমলে না নেওয়ায় চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী ২২নং আবেদন ও ৯ সেপ্টেম্বর ১৬৮৯ নং আবেদন মূলে আপত্তি দাখিল করেন ভুক্তভোগীরা। কিন্তু তারও শুনানী না করে উল্টো নিঃস্বত্ববান বশীর আহমদ ও নূর মুহাম্মদ গংকে এবং নাছিমা, হাছিনা মোস্তফা, ফাহমিদা, আবদুর রহিম গংকে কে সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়ে ভূক্তভোগী হাছি মিয়া বাদী হয়ে কক্সবাজার সহকারী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে (মহেশখালী) এ অপর ১১৬৮/২১ নং মামলা দায়ের করেছেন। এ অপর ৩০৭/১৭ শোকেজ নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও মামলা শুনানীর আগে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এবং জেলা প্রশাসক ও ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা ২ নং শাখার এল. এ আরফাত ছিদ্দিকী কে সার্ভেয়ার ইব্রাহীম ফয়সাল ভুল তথ্য দিয়ে চেক দেওয়ার চেষ্টা করছে। ইব্রাহীম ফয়সাল ২০% করে টাকা নেওয়ার কথা বলছে। আমি ২০% টাকা দিতে না পেরে বিবাদী থেকে ৪০% টাকা গ্রহণ করে চেক দেওয়ার প্রচেষ্টা করছে দালাল মো: তাজ উদ্দীন (প্রকাশ তাজু) পিতা- বশির আহাম্মদ, সাং- ধলঘাটা সুতরিয়া, মহেশখালী, ও আরেক দালাল রেজাউল করিম আশেক। ক্ষতিগ্রস্থ হাছি মিয়া বলেন, তাজ উদ্দিন অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তাকে বশ করেছেন।
আপনার মন্তব্য দিন

প্রকাশিত মন্তব্য

কক্সবাজার


পরিচালনা সম্পাদক: মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক: মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম

© 2025 Dainik Coxsbazar, All Rights Reserved.