কক্সবাজার ডেস্ক :
জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন-ন্যাম সম্মেলনে যোগ দিতে আজারবাইজানের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরসঙ্গীদের নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হন তিনি।
স্থানীয় সময় রাতে সাড়ে ৯টার দিকে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুর হায়দার আলিয়েভ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। ১২০টি উন্নয়নশীল দেশের জোট ন্যাম রাজনৈতিক সমন্বয ও পরামর্শের জন্য জাতিসংঘের পর সবচেয়ে বড় ফোরাম হিসেবে পরিচিত। স্নায়ু যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে গড়ে ওঠা ৫৮ বছরের পুরনো এ জোটের ১৮তম সম্মেলন হবে ২৫ ও ২৬ অক্টোবর বাকুর কংগ্রেস সেন্টারে। ১২০টি সদস্য দেশ ছাড়াও আরো ১৭টি দেশ ও ১০ আন্তর্জাতিক সংস্থা পর্যবেক্ষক হিসেবে তাতে অংশ নেবে।
বিমানবন্দরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানানোর পর মোটর শোভাযাত্রা করে তাকে নিয়ে যাওয়া হবে হিলটন বাকু হোটেলে। আজারবাইজান সফরে তিনি সেখনেই থাকবেন। শুক্রবার অষ্টাদশ ন্যাম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকার সম্মেলেনে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং প্রতিনিধিদের অভ্যর্থনা জানাবেন।
ফটোসেশনের পর হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এরপর বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদলের প্রধানদের মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা।সন্ধ্যায় আজারবাইজানের রাষ্ট্রপতি ইলহাম আলিয়েভের আয়োজনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ নেবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। শনিবার সম্মেলনের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন, প্রতিনিধিদলের প্রধানদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ এবং সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। সন্ধ্যায় আজারবাইজানে বাংলাদেশের দূত হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দেয়া নৈজভোজে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। সফর শেষে রোববার সন্ধ্যায় তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, সংস্কৃতি বিষযক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালযরে সচিব সাজ্জাদুল হাসান, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং এসএসএফ মহাপরিচালক মো মজিবুর রহমান আজারবাইজান সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন।